Monday, 10 April 2017
দাঁতের যত্ন না নিলে ফুসফুসে ফোঁড়া!!!!!
আপনি হয়ত জানেন প্রধান শ্বাসণালী (Trachea) এবং খাদ্যণালীর প্রধান ছিদ্রপথ খুব কাছাকাছি মুখ গহবরের পিছন দিকে অবস্থিত। সুতরাং মুখের লালা, খাদ্যকণা, জীবাণু, সময় সময় নকল দাঁত অথবা মুখের যে কোন ময়লা শুধু পেটে না প্রধান শ্বাসনালি দিয়ে চলে যেতে পারে ফুসফুসে। এই দ্রব্যগুলি ফুসফুসে যেতে বাধা দেয় দুই পাহারাদার, যথা: এপিগ্লটিস ( epiglotis) এবং ভোকাল কর্ড (vocal cord) । কিন্তু এরপরও মুখের তরল দ্রবীভূত কিছু অংশ চুইয়ে চুইয়ে চলে যায় ফুসফুসে। এটি বেশী ঘটে ঘুমের মধ্যে। আর খুব বেশী ঘটে কেউ যদি অজ্ঞান অবস্থায় থাকে অথবা কেউ যদি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় কিংবা কারো যদি খাদ্যণালীতে সমস্যা থাকে প্রভৃতি। মুখ গহবরে যদি ঘা থাকে, দাঁত যদি অপরিষ্কার থাকে,দাঁতের মাঢ়িতে যদি ইনফেকশন থাকে তবে লালাতে জীবাণুর পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়, এই অতিরিক্ত জীবাণু মিশ্রিত লালা ফুসফুসে পৌঁছালে হতে পারে নিউমোনিয়া (pneumonia) অথবা ফোঁড়া (lung abscess)। তাই দাঁতের যত্ন নিলে আপনার ফুসফুসও ভালও থাকবে।
অ্যাপথাস অালসার
Canker sores, also called aphthous ulcers, are small, shallow lesions that develop on the soft tissues in your mouth or at the base of your gums. Unlike cold sores, canker sores don't occur on the surface of your lips and they aren't contagious. They can be painful, however, and can make eating and talking difficult. Most canker sores go away on their own in a week or two. Canker sores often run in families. Most people get one, two or three sores at a time. But some people have 10 or more at a time. People who get canker sores typically have them a few times each year. Scientists don't know what causes canker sores. Most believe that there is a problem with the body's immune system. Emotional stress, menstruation or injury to the mouth are common triggers for simple canker sores. Certain foods such as citrus or acidic foods may trigger a canker sore or make one more uncomfortable.
Sunday, 9 April 2017
বাচ্চাদের ডেন্টাল ক্যারিজ
ডেন্টাল ক্যারিজ (দাঁতের ক্ষয় রোগ) খুব সাধারণ একটি সমস্যা যা যে কোনো বয়সেই হতে পারে। ছোট বাচ্চাদের ডেন্টাল ক্যারিজ সাধারণত ২-৫ বছর বয়সে দেখা যায়। কারণ এই বয়সে বাচ্চারা চকলেট, মিষ্টি, চিপস ইত্যাদি খাবার বেশি খায় কিন্তু এগুলো খাওয়ার পর দাঁত পরিষ্কার করে না। বাচ্চাদের মাঝে সবসময়ই দাঁত না মাজার একটি প্রবণতা দেখা যায়।
২-৫ বছর বয়সী বাচ্চাদের দাঁতের ক্যারিজ হওয়ার আরও বড় একটা কারণ হচ্ছে এ বয়সে অনেক বাচ্চা ঘুমের মধ্যে ফিডার খায়। আবার অনেক বাবা মা আছেন যারা বাচ্চাকে ঘুমের মধ্যে ফিডার খাওয়াতে পছন্দ করেন কারণ জেগে থাকলে বাচ্চা খেতে চায় না। এই ঘুমের মধ্যে খাবার খাওয়ার অভ্যাস বাচ্চাদের ডেন্টাল ক্যারিজ হওয়ার সম্ভাবনা ৯০শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।
বাচ্চাদের ডেন্টাল ক্যারিজ অনেক বাবা মা গুরুত্ব দেন না, তারা মনে করেন এই দাঁত তো দুধ দাঁত; কিছুদিন পর পড়ে যাবে, এর পর আবার নতুন দাঁত উঠবে। কিন্ত এই দুধ দাঁতের যদি ঠিক মত যত্ন না নেওয়া হয়, সমস্যা হলে চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তার যে স্থায়ী দাঁত উঠবে তার অনেক সমস্যা হতে পারে। যেমন, কারো দুধ দাঁত ক্যারিজ থাকায় সময়ের আগেই পড়ে গেলে বা ফেলে দেয়া হলে স্থায়ী দাঁত আঁকাবাঁকা বা উঁচু নিচু হতে পারে, যা ভবিষ্যতে আরও অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
রোগ তো রোগই তা যে বয়সেই হোক না কেন। যে কোন রোগের ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করা যায়, তত দ্রুত রোগ ভাল হয়। তাই বাচ্চাদের ডেন্টাল ক্যারিজ নিয়ে উদাসীন না থেকে অবশ্যই তাদের ক্যারিজের দ্রুত চিকিৎসা করা উচিৎ, যাতে ভবিষ্যতে তাদের দাঁতের সমস্যা কম হয় ♦♦
♣dr.imran's dental solution♣
ঢাকা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার
হাজি মহসিন রোড, চাঁদপুর।
01911020726♦01741768584
শিশুর দাঁতের যত্ন
♦এক. কখন থেকে যত্ন নেওয়ার শুরু
দাঁত না ওঠার অর্থ এই নয় যে এগুলো ওখানে নেই। গর্ভকালীন দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সময়ে দাঁত গঠিত হতে শুরু করে। জন্মের সময়ে শিশুর মাড়িতে ২০ প্রাইমারি দন্ত থাকে তার অনেকগুলো চোয়ালে পরিপূর্ণভাবে গজিয়ে যায়। সুতরাং প্রথম দন্ত কৌমুদী প্রস্ফুটনের আগে শিশুর দাঁতের পরিচর্যা করা উত্তম।
শিশুকে খাওয়ানোর পরে পরিচ্ছন্ন জলে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার করা যায়। এতে ব্যাকটেরিয়া ওখানে জমাট বাঁধতে পারে না। আর যখনই কয়েকটা দাঁত মুকুলিত হবে তখনই দিনশেষে নরম টুথব্রাশ কিংবা গজ পিস দিয়ে তা পরিষ্কার রাখা যায়।
♦দুই. ফ্লুরাইড এবং খাবার পানি
শিশুর দাঁতের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় শুধু দৈনিক দাঁত ব্রাশ করাটাই যথেষ্ট। শিশুকে যে জলপান করানো হয় সে জলে যদি স্বাভাবিক মাত্রায় ফ্লুরাইড থাকে তবে তা শিশু দন্ত বিকাশে এবং দাঁতে ক্ষয়রোগ রোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
♦তিন. শিশুর দাঁত বনাম জুস পান
যেন ‘জুস-ই জীবন’ অনেক বাচ্চার মধ্যে এরূপ তাড়না দেখা যায়। অনেক মা-বাবা, অভিভাবক এ নিয়ে তেমন গা করেন না। ফ্রুট জুইসের সুগার দাঁতের এনামেল খেয়ে নেয়, বিশেষত যেসব শিশু সারা দিন বা ঘুমোতে যাওয়ার আগে বোতলে, কাপে নিরবধি জুস পান করে চলেছে। গবেষণার তথ্য—শিশুর দাঁতে কেরিজ তৈরি হয় তখন যখন বেশি সময় ধরে জুস দাঁতের চারপাশে প্রবাহিত হয়। দুধভর্তি ফিডার ধরিয়ে যেসব মা বাচ্চাকে ঘুমিয়ে দেন সে ক্ষেত্রে এমন ফলাফল ঘটে।
সে কারণে শিশু বয়সে জুস ড্রিংকস ও অন্যান্য সুগার পানীয় নিয়ন্ত্রণে রেখে খাওয়ানো উচিত। কখনো বোতল বা ফিডার মুখে দিয়ে শিশুকে ঘুম পাড়ানোর কৌশল অবলম্বন না করা।
তৃতীয়ত শিশুর সঠিক দাঁতের যত্নে প্রথম বছর পুরোলে দন্তবিশেষজ্ঞের পরামর্শ চেয়ে নেওয়া।
♣dr.imran's dental solution♣
ঢাকা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার
হাজি মহসিন রোড, চাঁদপুর।
01911020726♦01741768584
দূর্ঘটনা বা অাঘাতে দাঁত পড়ে গেলে করনীয়
যে কোন দুর্ঘটনায় আপনার দাঁত পড়ে গেলে এরকম চিন্তার কোন কারণ নেই যে "হায়! আমি একটা দাঁত হারালাম।" কেননা, সেই দাঁত খুব সহজেই আপনার মুখে পুন:স্থাপন করা যেতে পারে। আপনাকে শুধু কিছু কথা জেনে রাখতে হবে :-
১.দাঁত যেখানে পড়বে সেখান থেকে তুলে এনে ট্যাপকল বা পানির নিচে এনে দাঁতের উপরে থাকা আলগা ময়লা গুলো ধুয়ে ফেলতে হবে★
২.কিন্তু সাবধান। দাঁতের গোড়ার জায়গা স্পর্শ করা যাবে না। কারণ দাঁতের গোড়ায় কিছু বিশেষ ধরনের লিগামেন্ট থাকে যেগুলোকে পেরিওডন্টাল লিগামেন্ট বলে - এই লিগামেন্ট গুলো দাঁতকে তার কোটরে ধরে রাখতে সাহায্য করে, গোড়া এগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হলে দাঁতকে তার কোটরে পুনঃস্থাপিত করা সম্ভব নয়★
৩.এবার দাঁতকে দুধ অথবা স্যালাইন পানি অথবা ডাবের পানির মধ্যে করে অবশ্যই প্রথম ১ ঘন্টার মধ্যে নিকটস্থ ডেন্টিষ্ট এর শরণাপন্ন হতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আনতে পারলে চিকিৎসা সফল হওয়ার নিশ্চয়তা অনেক গুন বেড়ে যায়★
৪.তবে প্রথম ১ ঘন্টার মধ্যে ডাক্তারের কাছে না পৌঁছাতে পারলেও চিকিৎসা আছে, ডাক্তারকে দাঁত পড়ে যাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে অবহিত করতে হবে★
৫.ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দাঁত পুনঃস্থাপনের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট করে নিতে হবে। তবে ১০ - ১২ বছরের বচ্চাদেও ক্ষেত্রে এই ট্রিটমেন্ট না করলেও চলে, কারণ তাদের দাঁতগুলো গোড়া থেকে প্রচুর পরিমানে রক্ত সরবরাহ পায়, বড়দের ক্ষেত্রে সেটা বন্ধ হয়ে যায়★
উপরোক্ত নিয়মগুলো মনে রাখতে পারলে দুর্ঘটনায় আপনার পড়ে যাওয়া দাঁতটি আপনার মুখে পুনঃস্থাপিত হতে পারে নির্বিঘ্নে; সেই দাঁত আপনার জন্য কাজ করে যাবে আরও বহুদিন।
♣dr.imran's dental solution♣
ঢাকা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার
হাজি মহসিন রোড, চাঁদপুর।
01911020726♦01741768584
Root Canal চিকিৎসা কি জেনে নিন
♦♣রুট ক্যানেল কি ও কেন করাবেন?♦♣
দাঁতে প্রচন্ড ব্যথা কিংবা আঘাতে তা ভেঙে গেছে। আবার হয়তো দাঁতে বড় এক ক্ষত হয়েছে, যেখানে খাদ্য জমলেই খুব ব্যথা হয়। চিকিৎসক দেখে বললেন, ‘আপনার তো রুট ক্যানেল করতে হবে।’ ঘাবড়ে গেলেন খুব? ভাবলেন রুট ক্যানেল, (দাঁতের মাড়ি বা দন্তমূলের চিকিৎসা) সে তো বিরাট ব্যাপার! সত্যি হলো, রুট ক্যানেল ভীতিকর কোনো চিকিৎসাব্যবস্থা নয়। বরং খুব সাধারণ; হরহামেশাই হচ্ছে হাসপাতালে কিংবা ব্যক্তিগত চেম্বারে। জেনে নেওয়া যাক কেমন করে হয় রুট ক্যানেল।
যখন দাঁতের সংক্রমণ দাঁতের ভেতরের রক্তনালি, স্নায়ু, কিংবা টিস্যুকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তখন সাধারণত রুট ক্যানেলের দরকার হয়।
কখনো আবার সংক্রমণ ছাড়া আঘাতজনিত কারণেও দাঁতের শিকড় কিংবা অন্যান্য অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে রুট ক্যানেল করার প্রয়োজন হতে পারে।
রুট ক্যানেল পদ্ধতির মাধ্যমে দাঁতের ভেতরের সংক্রমিত রক্তনালি, স্নায়ু, টিস্যুকে কেটে সরিয়ে ফেলা হয়। তাই রুট ক্যানেল করা দাঁতে দ্বিতীয়বার সংক্রমণের আশঙ্কা ক্ষীণ থাকে।
রুট ক্যানেল পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ করতে সাধারণত তিন দিন সময় লাগে। কখনো আরও কম সময়ে হয়ে যায় কিংবা বেশি দিনও লাগতে পারে। দাঁতের স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করছে সময়টা।
এ পদ্ধতিতে দাঁতের ওপরের অংশ থেকে কেটে দাঁতের ভেতরের সংক্রমিত সব টিস্যু তুলে ফেলা হয়। তারপর ভেতরের অংশ ওষুধের সাহায্যে পরিষ্কার করে আস্তে ধীরে যন্ত্রের সাহায্যে ক্যানেল প্রস্তুত করে নিতে হয়।
এ সময় দাঁতের ক্যানেলে থাকা সব সংক্রমিত টিস্যু বের করে ওষুধ দিয়ে পরিষ্কার করে ফিলিং ম্যাটেরিয়াল দিয়ে পুরো দাঁতের ভেতরের অংশ পূর্ণ করে দিতে হয়।
মুখের কোন অংশের দাঁতে রুট ক্যানাল করা হলো, তার ওপর নির্ভর করে ফিলিং ম্যাটেরিয়াল ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
রুট ক্যানেল শেষে দাঁত তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও শক্তি হারায়। তাই রুট ক্যানেল শেষে করে নিতে হয় ক্যাপ। দাঁতের ক্যাপ অসংখ্য শেডে পাওয়া যায়। তাই নিজের দাঁতের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ক্যাপ করে নিলে হারানো সৌন্দর্য যেমন ফিরে আসবে—দাঁতের শক্তিও বাড়বে বহুগুণ।
♣dr.imran's dental solution♣
ঢাকা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার
হাজি মহসিন রোড, চাঁদপুর।
01911020726♦01741768584
গর্ভবতী মায়ের দাঁতের যত্ন
♦গর্ভাবস্থায় দাঁতের পরিচর্যা♦
দাঁতের যত্ন ৬ মাস বয়স থেকে সারা জীবনই নিতে হয়। প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই সবার দাঁত ব্রাশ করা উচিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করার কথা ভুললে চলবে না। গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি নিতে হবে। কারণ গর্ভাবস্থার দুই মাস পর থেকে মুখ এবং দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়।
★অ্যাপথাস আলসারঃ গর্ভাবস্থায় অনেকেরই মুখের অভ্যন্তরে বার বার অ্যাপথাস আলসার হতে দেখা যায়। এই সময় পোভিডন আয়োডিন মাউথওয়াশ ১% সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে দিনে দুই বার কুলি করতে হবে। পাশাপাশি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ফলিক এসিডও দেয়া যেতে পারে।
★প্রেগন্যান্সি জিনজিভাইটিসঃ গর্ভাবস্থার দুই মাস পরে মাড়ির প্রদাহ দেখা দিতে পারে যা প্রেগন্যান্সি জিনজিভাইটিস নামে পরিচিত। মাড়িতে পাথর থাকলে ডেন্টাল সার্জনের কাছে গিয়ে স্কেলিং করিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় ব্যাকটেরিয়া বংশ বৃদ্ধি করে গর্ভবর্তী মায়ের ক্ষতি করতে পারে। তাই সবচেয়ে ভাল হয় গর্ভাবস্থায় পুরো সময় একজন ডেন্টাল সার্জনের তত্ত্বাবধানে থাকা।
★পায়োজেনিক গ্রানুলোমাঃ গর্ভাবস্থায় অনেক সময় মাড়িতে এক ধরনের টিউমার দেখা যায় যা পায়োজেনিক গ্রানুলোমা নামে পরিচিতি। তবে অনেকে এ টিউমারকে প্রেগন্যান্সি ইপুলিস বলে থাকেন। গর্ভাবস্থা শেষ হলে এ টিউমার আপনা আপনিই ভাল হয়ে যায়। তবে কোন জটিলতা দেখা দিলে বা কোন সমস্যা অনুভব করলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সাথে সাথে চিকিত্সা নেয়া উচিত।
★গর্ভাবস্থায় দাঁতের চিকিৎসার সময়ঃ গর্ভাবস্থায় দাঁতের চিকিত্সার সবচেয়ে উত্তম সময় হল গর্ভাবস্থার তিন মাস থেকে ছয় মাস সময়। এ সময় ওষুধ সেবনও তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। তবে জরুরী চিকিৎসা যেকোন সময়ই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে।
★গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস এবং শেষ মাষঃ এ সময়ে ডায়াজিপাম বা মিডাজোলাম জাতীয় ঘুমের ওষুধ একেবারেই দেয়া উচিত্ নয় বাধ্যতামূলক না হলে। এ সময় জেনারেল এনেসথেশিয়া বা সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে কোন অপারেশন না করাই ভাল।
★গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস এবং শেষ তিন মাসঃ এ সময় মেট্রোনিডাজল জাতীয় ওষুধ খাওয়া নিষেধ। এতে গর্ভবতী মায়ের ক্ষতি হয়। টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা কোনভাবেই উচিত নয়।
★গর্ভাবস্থার সময় যেসব এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না, সেগুলো হলোঃ
১. টেট্রাসাইক্লিন, ২. কো-ট্রাইমোক্সাজল, ৩. মেট্রোনিডাজল, ৪. রিফ্যামপিছিন, ৫. ফ্লুকোনাজল, ৬. সালফোনেমাইডস, ৭. অ্যামাইনো গ্লাইকোসাইডস।
গর্ভাবস্থায় যেসব এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবেঃ
১. পেনিসিলিন, ২. সেফালসপরিন, ৩. ইরাইথ্রোমাইসিন।
পেনিসিলিন জাতীয় এন্টিবায়োটিকের মধ্যে অ্যামোক্সিসিলিন সবচেয়ে নিরাপদ। পেনিসিলিনে যাদের সংবেদনশীলতা রয়েছে তারা এন্টিবায়োটিক হিসাবে ইরাইথ্রোমাইসিন ব্যবহার করবেন।
গর্ভাবস্থায় ব্যথানাশক ওষুধ যা ব্যবহার করা যাবে নাঃ
১. এসপিরিন, ২. NSAID জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ, ৩. মেফিনামিক এসিড।
★গর্ভাবস্থায় ব্যথানাশক ওষুধঃ গর্ভাবস্থায় ব্যথানাশক ওষুধ হিসাবে প্যারাসিটামল ব্যবহার করাই সবচেয়ে উত্তম। প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোন ব্যাথানাশক ঔষধ কোনভাবেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গর্ভবর্তী মাকে দেয়া উচিত নয়।
★ষ্টেরয়েড জাতীয় ওষুধঃ বাধ্যতামূলক না হলে ষ্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়। পরিশেষে একথা বলাই বাহুল্য যে, গর্ভবতী মা সুস্থ থাকলে আগত সন্তানও সুস্থভাবে জন্ম লাভ করে থাকে। তাই আমাদের সবার উচিত গর্ভবর্তী মায়ের সার্বিক স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা।
♠dr.imran's dental solution♠
ঢাকা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার
হাজি মহসিন রোড, চাঁদপুর।
01911020726♦01741768584
দাঁত ব্রাশের সঠিক পদ্ধতি (ভিডিও)
যারা সুপারি খান তাদের জন্য সতর্কবার্তা
## সুপারি মুখের ক্যানসারের অন্যতম কারন ##
প্রায় এশিয়াজুড়েই পাওয়া যায় সুপারি। কাঁচা কিংবা শুকনো-সব ভাবেই এটি খাওয়া যায়। চাঙ্গা করার ক্ষেত্রে এই সুপারি প্রায় ছয় কাপ কফির সমান কার্যকর। বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় এক-দশমাংশ এই সুপারি খান। কোথাও এটিকে দেখা হয় ভালোবাসার প্রতীক এবং বদহজম ও বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যার প্রতিকার হিসেবে।
আপনি জানেন কি এই সুপারিই প্রতিবছর হাজার-হাজার মানুষের মৃত্যুরও কারণ? এর কার্যক্ষমতা এতটাই বেশি যে নিকোটিন, অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইনের পাশাপাশি একেও মতিবিভ্রমকারী মাদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যদিও নারী এবং শিশুসহ অনেকেই এটি ব্যবহার করেন, তবে কর্মক্ষম পুরুষদের মাঝেই সুপারির ব্যবহার বেশি। গাড়ি চালানো, মাছ ধরা কিংবা নির্মাণকাজের মতো কর্মকাণ্ডে দীর্ঘসময় জেগে থাকার জন্য এটি তারা সুপারি চিবান। তবে এই সুপারিতে অভ্যস্তদের উচ্চমাত্রায় মুখের ক্যানসারের আক্রান্তের ঝুঁকি থাকে। এমনকি প্রথমবার সুপারি ব্যবহার করার কয়েক দশক পরেও কারো মুখে ক্যানসার হতে পারে।
এশিয়ার যে কয়টি এলাকায় সুপারি খুব বেশি জনপ্রিয় তার একটি তাইওয়ান। সেখানে সুপারিকে বলা হয় ‘তাইওয়ানের চুইংগাম’। দেশটির সরকার এখন কয়েক শতকের পুরনো এই অভ্যাসটি কমিয়ে আনা এবং প্রতিবছর হাজার-হাজার জীবন ঝরে পড়া থেকে রক্ষার জন্য জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে ২০১৩ সালে দেশটিতে সুপারি ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক কমেছে।
তাইওয়ানের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের মুখের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ হান লিয়াং-জুন বলেন, ‘অর্ধেক মানুষ এখনো জানেই না যে সুপারি মুখের ক্যানসারের অন্যতম কারণ।’
এশিয়ার অনেক অঞ্চলে সুপারি স্থানীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি কাঁচা, শুকনা কিংবা পানপাতা দিয়ে মুড়িয়ে খিলি বানিয়ে খাওয়া হয়।। যদিও পানের খিলি বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে বানানো হয়। তবে সাধারণতঃ চুন, পানপাতা, এলাচি বা দারচিনির মতো মশলা এবং তামাকের সাথে মিশিয়ে এই খিলি তৈরি করা হয়।
আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা এসব উপাদানের মধ্যে এলাচ এবং দারচিনি ছাড়া বাকি সব উপাদানকে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। চুনকে বিশেষ একটি সমস্যা হিসেবে দেখা হয়, কারণ এটি ব্যবহারের ফলে মুখের ভেতর ছোট-ছোট অনেক ক্ষত তৈরি হতে পারে। ক্যানসার সৃষ্টিকারী অনেক উপাদান এসব ক্ষতের মাধ্যমে চামড়ার ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।
Subscribe to:
Comments (Atom)











